অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ২০২৪

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ২০২৪ সম্পর্কে আমার এই পোস্ট। আমাদের এই পোস্টে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়গুলো ২০২৪ উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি।

আমার এই পোস্টের টাইটেলে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ২০২৪ উল্লেখ থাকলেও অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম সহজে করা যায় না। এখান থেকে ইনকাম করা অনেক সময়ের ব্যাপার। তবে অনেকেই অনলাইন থেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে এটাও সত্য।

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ২০২৪

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ২০২৪ হলো: ফ্রিলান্সিং (Freelancing) করে ইনকাম, ইউটিউব থেকে আয়, ফেসবুক থেকে আয়, ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে আয়, এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় প্রভৃতি।

ফ্রিলান্সিং (Freelancing) করে টাকা ইনকাম করার উপায়

অনলাইনে সবচেয়ে বেশি ইনকাম করা যায় ফ্রিলান্সিং (Freelancing) করে। পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরছে আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সারগণ। আর সাথে সাথে প্রতি মাসে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স তারা এনে দিচ্ছে বাংলাদেশে। তাই এই ফ্রিলান্সিং শিখে আপনিও টাকা আয় করতে পারেন।

ফ্রিলান্সিং (Freelancing) শুরু যেভাবে করবেন

ফ্রিলান্সিং (Freelancing) শুরু করার জন্য আপনার একটি নির্দিষ্ট বিষয় দক্ষতা প্রয়োজন। এটা হতে পারে কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing), লোগো ডিজাইন (Logo Design), গ্রাফিক্স ডিজাইনিং (Graphics Design), হতে পারে ফটো এডিটিং (Photo Editing), হতে পারে ওয়েব ডিজাইনিং (Web Design), ওয়েব সাইট মেকিং (Website Making), কপি রাইটিং (Copywriting), প্রভৃতি।

উপরের তালিকার যেকোনো একটি কাজে আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারলেই আপনি ফ্রিলান্সিং (Freelancing) শুরু করতে পারবেন। আপনি যদি একাধিক কাজ পারেন সেক্ষেত্রে আপনার টাকা ইনকামের সুযোগ বেশি হবে।

ফ্রিলান্সিং (Freelancing) শেখার পর আপনি বিভিন্ন ফ্রিলান্সিং সাইটে (যেমন- Freelancer, Upwork, Fiver, প্রভৃতি) আপনার তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলুন। এর পরে আপনি কোন কোন কাজে পারদর্শী সেগুলো ওই সাইটে মেনশন করুন।তারপর সময় সাপেক্ষ আপনি কাজ পাওয়া শুরু হয়ে যাবে।

ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায়

ইউটিউব থেকে ইনকাম বিভিন্ন উপায়ে করতে পারবেন, যেমন: গুগল এ্যাডসেন্স, এফিলিয়েট মার্কেটিং, লোকাল স্পনসর সীপ, পোডাক্ট রিভিউ, অ্যাপস রিভিউ, ওয়েবসাইট রিভিউ প্রভৃতি।

ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার নিয়ম

একটি ইউটিউব চ্যানেলের গুগল এ্যাডসেন্স পেতে বেশ কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হয়, যেমন চ্যানেলে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে শেষ ১২ মাসের মধ্যে তবে কোন ভিডিও ডিলিট করলে সেই ভিডিওর ওয়াচ টাইম বাদ দেওয়া হবে। এছাড়াও আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিও গুলো তৈরি করবেন সেই ভিডিও গুলো অবশ্যই কপিরাইট মুক্ত হতে হবে। আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সমস্ত শর্ত পূরণ হলে আশা করি ইউটিউব চ্যানেলের সাথে গুগল এ্যাডসেন্স যুক্ত করে আয় করতে পারবেন।

গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় জেনে নিন

সারা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ ইউটিউব থেকে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আয় করছে, তবে আপনি গুগল এ্যাডসেন্স পেলে শুরুতেই খুব বেশি টাকা আয় করতে পারবেন না, আপনাকে অবশ্যই ধর্য্য ধরতে হবে, আপনার চ্যানেলকে অনেক বড় করতে হবে, তবেই একদিন আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে অন্য সকলের মত লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়

কোন একটি অনলাইনে পণ্য বিক্রিয়কারী প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইট থেকে আপনাকে এফিলিয়েশন একাউন্ট বা লিংক তৈরি করতে হবে এবং সেই লিংক আপনার ইউটিউব ভিডিওর ডিসক্রিপশনে যোগ করতে হবে। আপনার কোন ভিউয়ার যদি ঐ ডিসক্রিপশনে যোগ করা লিংকে ভিজিট করে কোন পণ্য ক্রয় করে তাহলে ঐ ওয়েবসাইট আপনাকে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা আপনার এফিলিয়েশন একাউন্টে জমা করে দেবে।

লোকাল স্পন্সরশিপ থেকে ইউটিউবে টাকা ইনকাম করার উপায়

ইউটিউবে স্পন্সরশিপ পেতে আপনার ইউটিউব চ্যানলে মিনিমাম এক লাখ সাবসক্রাইবার থাকতে হবে এবং চ্যানেলে নিয়মিত ভাল পরিমাণ ভিজিটর থাকতে হবে, আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপনার সাথে যোগাযোগ করার জন্য একটি বিজনেস মেইল যোগ করে রাখতে হবে ,আপনার চ্যানেলটি যদি তাদের পছন্দ হয় তারা আপনার সাথে মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করবে।

এছাড়াও আপনি স্পন্সরশিপ পাবার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন,আপনার চ্যানেল দেখে যদি তাদের পছন্দ হয় তাহলে আপনার সাথে যোগাযোগ করে একটা এমাউন্ট নির্ধারণ করে স্পন্সরশিপ দিয়ে দেবে।

পোডাক্ট রিভিউ, অ্যাপস রিভিউ,ওয়েবসাইট রিভিউ করে ইউটিউবে টাকা ইনকাম করার উপায়

অ্যাপস রিভিউ,ওয়েবসাইট রিভিউ, পোডাক্ট রিভিউ থেকে আয় করা উপায় হলো আপনি একটি পোডাক্ট ,অ্যাপস ,ওয়েবসাইট ইত্যাদি রিভিউ করার অফার পেলেন অথবা আপনি কোনো একটি কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করছেন, কোম্পানিটি আপনার সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে চেয়েছে, তখন আপনি আলোচনার মাধ্যমে একটি এমাউন্ট নির্ধারণ করে তার পোডাক্ট , অ্যাপস ,ওয়েবসাইট যেটাই হোক রিভিউ করে দিবেন।

আমি আশা করি উপরের লেখা পড়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন।

ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে ইনকাম করার উপায়

ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট থেকে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে গুগল এডসেন্স।এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি মাধ্যমে ব্লগ লিখে আয় করতে পারবেন, যেমন : এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate marketing), লোকাল এডনেটওয়ার্ক লোকাল স্পন্সর (Local sponsor) প্রভৃতি।

এছাড়াও বাংলাদেশী এবং আন্তর্জাতিক মানের অসংখ্য লোকাল এডনেটওয়ার্ক রয়েছে এগুলো থেকেও ইনকাম করতে পারবেন, তবে ১০০০ ভিজিটরে গুগল এডসেন্স থেকে 10$ ডলার আয় হলে লোকাল এড নেটওয়ার্ক থেকে 4$ ডলার আয় হবে। তাহলে বুঝতেইতো পারছেন আপনার টার্গেট হতে হবে গুগল এডসেন্স ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটে এপ্রুভ করানো।

ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করার উপায়

মানসম্মত আর্টিকেল লিখেতে পারলে অবশ্যই ওয়েবসাইট বা ব্লগে গুগল এডসেন্স এপ্রুভ পাওয়া যায়। আপনার ব্লগে পর্যাপ্ত আর্টিকেল থাকলে প্রথমে মাসে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন আর আপনার ব্লগ সাইটটি যত পুরনো হবে পোস্টগুলো আস্তে আস্তে রেংক করবে ভিজিটর বাড়বে ব্লগ থেকে আয়ও দিন দিন বাড়তে শুরু করবে।

ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটে গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় জেনে নিন

• আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটে কমপক্ষে ২০টি ইউনিক আর্টিকেল থাকা লাগবে।

• প্রত্যেকটি আর্টিকেল ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার ওয়ার্ড করে লিখতে পারলে ভালো হয়। তবে মিনিমাম ৩০০ ওয়ার্ড লিখতেই হবে সেক্ষেত্রে আার্টিকেলের সংখ্যা বাড়িয়ে ৪০টি থেকে ৫০টি লিখতে হবে।

• আপনার লেখা কমপক্ষে ২০টি আর্টিকেল গুগলে ইনডেক্স হতে হবে।

• আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটে কয়েকটি পেজ তৈরি করতে হবে, যেমন: About me, Contact us, Privacy policy ইত্যাদি।

এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate marketing) করে ব্লগ সাইট থেকে আয় যেভাবে করবেন জেনে নিনঃ

ব্লগে আপনার পছন্দের ই-কমার্স সাইট অথবা যেকোনো সাইট থেকে এফিলিয়েট লিংক সংগ্রহ করে ব্লগ পোস্ট অথবা সাইটবারে যুক্ত করে মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন।

ব্লগ থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate marketing) করে আয় করতে হলে আপনি যে পোডাক্ট মার্কেটিং করতে চাচ্ছে সেই পোডাক্ট বিষয়ক ব্লগ লিখতে হবে এবং পোস্টে আপনার সংগ্রহ করা এফিলিয়েট লিংক যুক্ত করে দিতে হবে, তাহলে সেল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

বাংলাদেশ থেকে বাংলা ব্লগে মোবাইল এবং কম্পিউটার এক্সসরিজ মাকেটিং করার সেরা ই- কমার্স সাইট (BDSHOP.COM), এই সাইটে থেকে মাত্র ১০০০ টাকা হলেই উত্তোলন করতে পারবেন বিকাশের মাধ্যমে।

আপনি যদি কোন ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানির ডিজিটাল পণ্য মাকেটিং করতে চান তাহলে (Putulhost.com) এই সাইট থেকে এফিলিয়েট লিংক সংগ্রহ করে মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। আপনি মাত্র ৫০০ টাকা ব্যালেন্স হলেই বিকাশের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।

লোকাল স্পন্সর থেকে ওয়েবসাইট ব্লগ লিখে টাকা ইনকাম করার উপায়

আপনার আশে পাশের ছোট কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে খুব সহজেই লোকাল স্পন্সর পেয়ে যেতে পারে, যেমন: আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে জানাবেন যে আপনার একটি ব্লগ সাইট আছে সেখানে মাসে এত ভিজিটর আসে আমাকে মাসে এত টাকা দিতে হবে। সেই কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের আপনার সাইটটি দেখে পছন্দ হলে কিছু টাকা কম করে আপনাকে একটি ব্যানার তৈরি করে দিবে অথবা ব্যানার আপনাকে তৈরি করে দিতে বলবে, এভাবেই ছোট কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে আয় করতে পারবেন।

আপনি যদি গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, এয়ারটেল, রবি, বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি থেকে লোকাল স্পন্সর পেতে চান তাহলে আপনার ব্লগ সাইটটিকে একটু বড় করে নিতে হবে যাতে মাসে এক লাখের মতো ভিজিটর আসে তাহলে আপনি এই সকল কোম্পানির কাছে লোকাল স্পন্সর এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও দেশে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বহু কোম্পানি রয়েছে তাদের থেকে স্পন্সরশীপ পাবেন তবে আপনাকে প্রথমেই ভিজিটর বাড়ানোর জন্য দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটে লোকাল এডনেটওয়ার্ক থেকে ইনকাম যেভাবে করবেন জেনে নিনঃ

বহু লোকাল এডনেটওয়ার্ক কোম্পানি আছে যারা ব্লগ তৈরি করার সাথে সাথে আবেদন করতেই এপ্রুভ করে দেয়, আপনার কি মনে করেন এপ্রুভ হলেই আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে, আমি বলবো না কারণ আপনার ব্লগে ভিজিটর না আসলে ১০০টি এডনেটওয়ার্ক থেকে এপ্রুভ নিলেও আপনার ১ টাকাও আয় হবে না, ব্লগ থেকে আয় করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে ভিজিটর বাড়াতে হবে। একটি ব্লগে গুগল এডসেন্স এপ্রুভ হলে যে টাকা ইনকাম হয়, লোকাল এডনেওয়ার্ক থেকে একই ভিজিটরে তার তিনগুণ কম ইনকাম দেয়।

ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়

ফেসবুক থেকে অনেকগুলো উপায়ে ইনকাম করার যায় যেমন: ফেসবুক ভিডিও থেকে আয় , ফেসবুক একাউন্ট খুলে আয়, ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয়, ফেসবুকে লাইক দিয়ে টাকা ইনকাম, ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা এই সকল বিষয়ে এই পোস্টে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করেছি।

ফেসবুক ভিডিও থেকে টাকাহো ইনকাম উপায়

ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয় করার সুযোগ রয়েছে, একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে, সেই পেজে ভিডিও আপলোড করে, ফেসবুক থেকে আয় করা সম্ভব , তবে শর্ত প্রযোজ্য।

ফেসবুক ভিডিওতে বিজ্ঞাপন চালায় যেভাবে জেনে নিন :

আমরা সাধারণত দেখতে পাই ইউটিউব ভিউয়ারদের ভিডিওর শুরুতে বিজ্ঞাপন দেখায়, আবার ভিডিও বড় হলে মাঝে মাঝেও বিজ্ঞাপন দেখায় কিন্তু ফেসবুক ভিউয়ারদের ভিডিওর মাঝে বিজ্ঞাপন দেখায়।

• ফেসবুক পেজে ১০ হাজারের উপর লাইক বা ফলোয়ার থাকতে হবে ।

• ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিও পাবলিশ করতে হবে, ফেসবুক আইডি থেকে নয় ।

• সর্বশেষ ৬০ দিনের মধ্যে আপনার পেজের ৩ মিনিটের উপরের সকল ভিডিও মিলে ৩০ হাজারের উপরে ভিউস হতে হবে, ভিডিওর ভিউস কমপক্ষে ১ মিনিট করে হতে হবে ।

• আপনি যদি ফেসবুক থেকে বেশি টাকা উপার্জন করতে চান তাহলে আপনাকে বড় ভিডিও অথাৎ বেশি মিনিটের ভিডিও তৈরি করতে হবে কারণ ছোট ভিডিওতে ফেসবুক খুব কম বিজ্ঞাপন দেখায়।

ফেসবুক Instant Article থেকে আয় যেভাবে করবেন

ফেসবুক lnstant Articles ব্যবহার করার জন্য আপনার একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর প্রয়োজন হবে এবং সেই ব্লগে কমপক্ষে ২০ টি পোস্ট থাকতে হবে। আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ২০ টি পোস্ট থাকলে সেই পোস্টগুলো আপনার ফেসবুক পেজে শেয়ার করবেন। আপনার ফেসবুক পেজ থেকে ১০ হাজার ভিজিটর আপনার ব্লগে আসতে হবে। আপনার ব্লগে ১০ হাজার ভিজিটর সম্পূর্ণ হলে আপনি ফেসবুক Instant Articles এর টুলস হতে আপনার ব্লগের Instant Articles অনুমোদন করার জন্য ফেসবুকের কাছে আবেদন করতে পারবেন। ফেসবুক কতৃপক্ষ দুই সপ্তাহের মধ্যে আপনার আবেদন রিভিউ করে যোগ্য মনে করলে আপনার পেজের জন্য Instant Articles অনুমোদন দেবে।

ফেসবুকে এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate marketing) করে টাকা ইনকাম করার উপায়

আপনার ফেসবুক পেজ, ফেসবুক পোফাইল, ফেসবুক গ্রুপ ইত্যাদি থেকে Affiliate link যুক্ত করে আয় করা সম্ভব, যেমন : আপনি কোনো একটি কোম্পানি থেকে Affiliate link সংগ্রহ করে আপনার ফেসবুক পেজ, ফেসবুক পোফাইল, ফেসবুক গ্রুপ ইত্যাদি এর পোস্টের মধ্যে এফিলিয়েট লিংক যুক্ত করলে সেই লিংকে প্রবেশ করে কোনো ভিউয়ার যদি কোনো পোডাক্ট কেনাকাটা করে তাহলে আপনি কিছু টাকা কমিশন পাবেন।

ফেসবুকে শপ তৈরি করে আয় করতে পারবেন যেভাবে :

ফেসবুকে শপ তৈরি করা এখন পানির মত সোজা তবে স্মার্ট ফোন এর মাধ্যমে বর্তমানে ফেসবুক শপ তৈরি করা যাচ্ছে না অতএব ফেসবুকে শপ তৈরি করতে চাইলে আপনাকে একটি কম্পিউটার ব্যবহার করতে হবে। আপনার যদি ফেসবুকে শপ তৈরি করতে কোনো সমস্যা হয় তাহলে ইউটিউবে অনেক ভিডিও আছে সেই ভিডিও দেখে দেখে তৈরি করে নিতে পারবেন।

আপনার ফেসবুক পেজে শপ তৈরি করা হয়ে গেলে সেই শপে আপনি আপনার নিজস্ব পোডাক্ট অথবা অন্য কোন কোম্পানির পোডাক্ট সুন্দর করে সাজিয়ে যুক্ত করার পরে কয়েক দিন অপেক্ষা করলেই আপনার পোডাক্ট বিক্রি শুরু হয়ে যাবে , আর বিক্রি শুরু হলে টাকা আয় করা শুরু করতে পারবেন।

ফেসবুক মেসেঞ্জার থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়

আপনি আপনার ফেসবুক পেজের একটিভ মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারেন।

ইদানীং ব্যবসায় ক্রেতা টানার জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে মেসেঞ্জার চ্যাটবট। এই স্বয়ংক্রিয় মেসেঞ্জার চ্যাটবট পেজে আসা ভিউয়ারদের আপনার ব্যবসা সম্পর্কে তথ্য দেবে। তাদের প্রশ্নের উত্তর দিবে। ফলে আপনি পেয়ে যেতে পারেন নতুন ক্রেতা।

ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম :

আপনারা বড় একটি ফেসবুক গ্রুপ থাকলে সেই গ্রুপ হতে পারে আপনার অনলাইন আয়ের অন্যতম একটি মাধ্যম। ফেসবুক গ্রুপ থেকে বিভিন্ন ভাবে আয় করতে পারবেন, যেমন:

• আপনার বড় একটি ফেসবুক গ্রুপ থাকলে সেই গ্রুপে ফেসবুক পেজের ভিডিও শেয়ার করলে অনেক ভিউস বেশি হবে , আপনার আয়ও বাড়বে।

• আপনার নিজস্ব কোনো পোডাক্ট অথবা অন্য কোনো কোম্পানির এফিলিয়েট পোডাক্ট বড় একটি গ্রুপে শেয়ার করলে সেল হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়।

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে

আমাদের কথা

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ২০২৪ উল্লেখ করেছি তার প্রত্যেকটিতে মোবাইল দিয়ে কাজ করা সম্ভব।

আমি আশা করি আপনারা এই পোস্টে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে আমার এই পোস্ট নিয়ে ফেসবুকে মেসেজ করতে পারেন। আর আমার ফেসবুক লাইক দিয়ে আমার সাথে যুক্ত থাকুন।

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।