আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া আরবী বাংলা – আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া বাংলা উচ্চারণ সহ আমাদের এই পোস্টে পাবেন।। আজকের এই পোস্টে আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া আরবী বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ লেখার চেষ্টা করলাম।
পবিত্র কুরআন মাজীদ এবং অসংখ্য হাদিসে বেশি বেশি আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া পড়ার ব্যাপারে তাগিদ দেয়া হয়েছে। কেননা গোনাহমুক্ত জীবনের অন্যতম উপায় হচ্ছে বেশি বেশি আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া পড়া। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআন মাজীদ ঘোষণা করেন-
وَمَن يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللّهَ يَجِدِ اللّهَ غَفُورًا رَّحِيمًا
‘যে গোনাহ করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, অতপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১১০)
‘নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের নিম্নতম স্তরে অবস্থান করবে এবং তুমি কখনও তাদের জন্য সাহায্যকারী পাবে না। কিন্তু যারা তওবাহ করে ও সংশোধন হয় তারা ব্যতিত।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১৪৫-১৪৬)
وَتُوْبُوْا إِلَى اللهِ جَمِيْعاً أَيُّهَا الْمُؤْمِنُوْنَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ
‘হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।’ (সুরা নূর : আয়াত ৩১)
‘যে কেউ দুষ্কর্ম করে অথবা স্বীয় জীবনের প্রতি অত্যাচার করে পরে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থী হয়, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পাবে।’ (সূরা: নিসা ৪/১১০)।
‘নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের নিম্নতম স্তরে অবস্থান করবে এবং তুমি কখনো তাদের জন্য সাহায্যকারী পাবে না। কিন্তু যারা তওবা করে ও সংশোধন হয় তারা ব্যতীত।’ (সূরা: নিসা, আয়াত: ৪/১৪৫-১৪৬)।
‘যারা ঈমানদান নর-নারীর ওপর যুলুম-নির্যাতন করেছে এবং পরে তাওবা করেনি, তাদের জন্যে জাহান্নামের আজাব ও দহন যন্ত্রণা রয়েছে।’ (সূরা: বুরূজ ৮৫/১০)।
আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া আরবী বাংলা – আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া বাংলা উচ্চারণ সহ
أَستَغْفِرُ اللهَ
বাংলা উচ্চারণ : আস্তাগফিরুল্লাহ।
বাংলা অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
নিয়ম : প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সালাম ফেরানোর পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ইসতেগফারটি ৩ বার পড়তেন।’ (মিশকাত)
- أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।‘
অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর দিকেই ফিরে আসছি।
নিয়ম : এ ইসতেগফারটি প্রতিদিন ৭০/১০০ বার পড়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তাওবাহ ও ইসতেগফার করতেন।’ (বুখারি)
- رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ
বাংলা উচ্চারণ : ‘রাব্বিগ্ ফিরলি ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা (আংতাত) তাওয়্যাবুর রাহিম।’
বাংলা অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবাহ কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়।’
নিয়ম : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন।’ (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)
- أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।’
অর্থ : ‘আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তাওবাহ করে) ফিরে আসি।’
নিয়ম : দিনের যে কোনো ইবাদত-বন্দেগি তথা ক্ষমা প্রার্থনার সময় এভাবে তাওবাহ-ইসতেগফার করা। হাদিসে এসেছে- এভাবে তাওবাহ-ইসতেগফার করলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত)
সাইয়েদুল ইসতেগফার আরবি
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আংতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহ্দিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাতাতু আউজুবিকা মিন শাররি মা সানাতু আবুউলাকা বিনিমাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউলাকা বিজাম্বি ফাগ্ফিরলি ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা।’
বাংলা অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই বান্দা আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নেয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গোনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গোনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।’
নিয়ম : সকালে ও সন্ধ্যায় এ ইসতেগফার করা। ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর এ ইসতেগফার পড়তে ভুল না করা। কেননা হাদিসে এসেছে- যে ব্যক্তি এ ইসতেগফার সকালে পড়ে আর সন্ধ্যার আগে মারা যায় কিংবা সন্ধ্যায় পড়ে সকাল হওয়ার আগে মারা যায়, তবে সে জান্নাতে যাবে।’ (বুখারি)
আপনাদের জন্য আরোঃ
• সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ
• সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত
• ছানা দোয়া বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ | নামাজের সানা আরবি বাংলা উচ্চারণ
• আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ | আয়াতুল কুরসির ফজিলত
• দোয়া কুনুত আরবী বাংলা উচ্চারন ও অর্থ সহ
• দোয়া মাসুরা বাংলা উচ্চারণ | দোয়া মাসুরা অর্থ
• আত্তাহিয়াতু সূরা বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ | আত্তাহিয়াতু দোয়া
• দুই সিজদার মাঝের দোয়া | Dui sijdar majer dua bangla
• দুরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ | দরুদ শরীফ পড়ার নিয়ম
• দরুদে ইব্রাহিম বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ | দরুদে ইব্রাহিমের ফজিলত
আমাদের এই পোস্ট সম্পর্কে আপনাদের যেকোনো মতামত কমেন্টে লিখতে পারেন। আর আমার ফেসবুক পেজ লাইক দিয়ে আমার সাথে যুক্ত থাকুন।
পোস্টি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
(তথ্যসূত্র : সংগৃহীত)
আরও পড়ুন :
- নামজের সময়সূচি ঢাকা ২০২২ | সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ঢাকা
- নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট
- মোনাজাতের দোয়া বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ | মোনাজাতের দোয়া আরবি
- রুকু থেকে উঠার পর দোয়া – ruku theke uthar por dua
- সেজদার তাসবিহ – sejdar tasbih
- বিকাশ ক্যাশব্যাক কি হালাল নাকি হারাম জানুন বিস্তারিত
ট্যাগ সমূহ : আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া আরবী বাংলা, আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া বাংলা উচ্চারণ সহ, আসতাগফিরুল্লাহ হাল্লাজি লা ইলাহা, আসতাগফিরুল্লাহ অর্থ কি।